দৈনন্দিন জীবনে লাইফ স্টাইলের গুরুত্ব
জীবনের সময়ের তুলনায় জীবনের মূল্য অপরিসীম আমরা সেই ছোট্টকালে ছোট হয়ে জন্মালাম। কবে যে বড় হয়ে গেলাম সেটা জানার বাইরে ,লাইফ স্টাইলের গুরুত্ব জীবনে প্রতিটা ধাপে রয়েছে আমি মানুষ কেমন সেটা আমার ব্যবহার দিয়ে প্রকাশিত হয় , আসুন জেনে নিই তেমনি কিছু টিপস বা সহজ কিছু গুরুত্ব
সুছিপত্রঃ জীবনে টিকে থাকতে হলে লাইফস্টাইল এর গুরুত্ব
- সময়ের কাজ সময়ে করা
- লাইফ স্টাইল কেমন দরকার
- বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন তাদের সাথে আচরণ বিধি কেমন হওয়া দরকার
- সঠিক নিয়ম মেনে জীবনে চলবার
- লাইফ স্টাইলে টাকার ভূমিকা
কত কিছু উপলব্ধি করলাম বড়দের কাছ থেকে শিক্ষা পেলাম ছোটদের স্নেহ করবার বাবার কাছ থেকে শিক্ষা পেলাম জীবন চলবার মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা পেলাম মাতৃত্ববোধ ভালোবাসার বোনের কাছ থেকে শিক্ষা পেলাম বড় হয়ে উঠবার হ্যাঁ সবকিছু দিয়েই আমাদের জীবন ।
আরপুরুনঃ গর্ভ অবস্থায় কদবেল খাওয়ার উপকারিতা
সময়ের কাজ সময়ে করাঃ
অনেক শিক্ষার্থীদের দেখা যায় তাদের অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিকে তারা আপন করে নিয়েছে । সময়ের কাজ সময় করতে হবে এমনটা যেন তারা ভুলেই গিয়েছে রাতের বেলা ঘুম না পেরে দিনের ঘুম পাড়াকে অভ্যাস করে নিয়েছে। যেটি শরীর ও মন দুইটার জন্যই ক্ষতিকর ।
দিনের একটা রুটিন ঠিক করুন আমি এই সময় খেলাধুলা করবো আমি এই সময় পড়ালেখা করবো আমি এই সময় ঘুরতে যাব আমি এই সময় ঘুমাবো আমি এই সময় সকালে ঘুম থেকে উঠবো খাওয়া দাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে সুস্বাস্থ্য খাবার খান ।
সময়ের কাজ সময়ে না করলে সেটার ক্ষতি ভয়াবহ , আপনি যদি কোন জায়গায় পড়ালেখার মধ্যে লিপ্ত থাকেন ধরুন কালকে আপনার এক্সাম আজকে আপনার পড়ালেখা করতেই হবে আপনি সেটা না করে ফোন অথবা কম্পিউটার অথবা ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত আছেন
এখন আপনি কালকে যখন আপনার পরীক্ষাটি দিতে যাবেন আপনি সেটা সুসম্পূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করে আসতে পারবেন না এজন্য আপনার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হবে আপনার বাবা-মা আপনাকে কত ভালোবেসে স্নেহ করে পড়ালেখা করাবেন অথবা নিজে কষ্ট করে কত পড়ালেখা করছেন নিশ্চয়ই সময়ের গুরুত্ব সময় দেওয়া উচিত।
সময়ের গাফেলতি না দিয়ে রুটিন মাফিক কিছু অন্তত পড়ালেখা করুন সারাদিনে।
পড়ালেখার পাশাপাশি একটা সময় করে শরীর চর্চা করুন যেটাতে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে অনিদ্রা যেমন ক্লান্ত ও অস্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য দায়ী ঠিক তেমনি শরীর শরীর চর্চা ব্যায়াম এক্সারসাইজ না করলে বিভিন্ন রোগের উপদ্রব বাড়বে আপনার শরীরে।
পড়ালেখার পাশাপাশি একটা সময় করে শরীর চর্চা করুন যেটাতে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকবে অনিদ্রা যেমন ক্লান্ত ও অস্বাস্থ্যকর শরীরের জন্য দায়ী ঠিক তেমনি শরীর শরীর চর্চা ব্যায়াম এক্সারসাইজ না করলে বিভিন্ন রোগের উপদ্রব বাড়বে আপনার শরীরে।
কিন্তু আমরা সময়ে অভাবে অজুহাতে এসব থেকে বিরত থাকি আমরা হয়তো ওই টাইমে ওই সময় অন্য কোন কাজ করি এবং সময়ের সঠিক মূল্যবোধ না দেওয়ার জন্য আমরা নামাজ থেকে বিরত থাকি যেখানে আল্লাহতালা আমাদেরকে বলে দিয়েছেন তোমরা আমার সময়ের মূল্য দিতে জানলে আমি তোমাদের হাত সচ্ছল দিয়ে ভরিয়ে দেব এবং তোমাদের সময়ের গুরুত্ব আমি তোমাদের ফিরিয়ে দিব।
লাইফ স্টাইল কেমন হওয়া দরকারঃ আমরা অনেকে অনেকভাবে আমাদের জীবন যাপন করতে ভালবাসি কিন্তু আমরা ভুলে যাই কিভাবে আমাদের জীবন যাপন পরিবর্তন করলে ভালো ও সুস্থসন মুক্ত থাকা যায় চলুন জেনে নিই তেমন কিছু উপায়
- জীবনে সর্বদা সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন
- যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের উপর আত্মবিশ্বাস ঠিক রাখুন
- পরিবারের কথা যথাসময়ে মেনে চলুন
- আপনার পোশাক আশাক পরিচ্ছন্ন আপনার একান্তই ব্যক্তিগত
- সব কিছু জন্য একটি সময় দরকার এবং সেই সময় সঠিক নিয়মে সঠিক জায়গায় দিতে হবে
- কালে গুরুজনরা যে কথা বলে সেটি মেনে চলার চেষ্টা করুন
- গল্প পড়ালেখার বই পড়ার সাথে মগ্ন থাকুন
- প্রেম-ভালোবাসা এসব থেকে দূরে থাকুন
- টার্গেট ফিক্সড করুন
- বাবা-মায়ের কথা শুনুন এবং তাদেরকে সময় দিন বাড়ির বিভিন্ন কাজে লিপ্ত থাকুন
বয়সন্ধিকাল সময় অনেক দৃঢ় এই সময় উড়ে বেড়াতে ইচ্ছা করে এই সময় ঘরে মন টিকে না পরিবেশ বান্ধবী হিসেবে থাকতে ইচ্ছা করে না জীবনের ভালো ও খারাপ দিক বিবেচনা করার একটিমাত্র সময়
জীবনের সর্বপ্রথম একটি লক্ষ্য দরকার সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যাই করুন ভালো কিছু করুন জীবন সময় অতি অল্প কিন্তু এই অল্প সময়ে নিজের জীবনটাকে ভালোভাবে গড়ে তুলুন । মানুষের সাথে কথা বলবেন সব সময় আপনার নীতি-নৈতিকতা ঠিক থাকবে । আচার ব্যবহার ভালো হবে অন্যরা যাতে আপনার ব্যবহার দেখে সেখান থেকে শিক্ষা পায় আপনি যাতে শিক্ষা দান করতে পারেন । আপনার চলাফেরা আপনার গুণগতমান আপনার ব্যক্তিত্ব একান্তই আপনার নিজের কাছে নিজের জন্য ।
খারাপ সঙ্গে ব্যক্তিত্ব আপনাকে ত্যাগ করে নিতে হবে। যদি ভালো সংঘ হতে ভালো কিছু শিখতে পারেন তাহলে সেই সঙ্গই আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে । জীবনে মানুষ থাকা জরুরী কিছু মানুষ জীবনে আসে জীবনটাকে শেষ করবার জন্য যেমন লাইফের বড় একটা সময় আমাদের চলে যায় ভাবতে ভাবতে অনেক মানুষের সাথে দেখা হয় অনেক মানুষের সাথে কথা ।
অনেক মানুষ আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে পড়ে আসে পাশের মানুষ থেকে ভালো ব্যক্তিত্ব প্রধান মানুষদের কাছ থেকে আমার কে শিক্ষা নিতে হবে এবং খারাপ ব্যক্তিত্বদের এড়িয়ে চলতে হবে ।
এটাই লাইফ স্টাইলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা রাখে আপনার মতামত আপনার সব সময় থাকবে দৃঢ় মানুষের কল্যাণে কাজ করা নিজের ভালোর জন্য অপরের ক্ষতি না করা আর পাঁচজনের থেকে আলাদাভাবে নিজেকে গড়ে তুলবার চেষ্টা করা । আপনার মতামত যেন সমাজ ও দেশের প্রত্যেকটা স্তরের মানুষদের মনের মধ্যে থাকে তো আপনার চলাফেরা সবকিছুই যেন আলাদা মত হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url